বউ এর পছন্দ
1//শাড়িকাপড় চুরির দায়ে পলিস চোরকে আদালতে ধরে এনেছে । উকিল তাকে জেরা করছে ।উকিল : ধর্মাবতার, এই লোকটা এক রাতে একই দোকানে ছ’বার চুরি করেছে। এর সেইমত সাজা হওয়ার দরকার ।চোর : হুজুর, ছ’বার দোকানে ঢুকলেও চুরি করেছি মাত্র দুখানা শাড়ি । আর বাকি পাঁচবার বউ এর পছন্দ না হওয়ায় শাড়ি বদলাবার জন্যে দোকানে ঢুকতে হয়ে
২//ম্যাজিস্ট্রেট: গতবারও তোমাকে বলেছিলাম, আমি চাই না তুমি পুনরায় এখানে আসো।চোর: স্যার, ঠিক এই কথাটাই আমিও পুলিশকে বলেছিলাম, বিশ্বাস করল না।
3//হাসতে হাসতে আদালত থেকে বেরিয়ে আসছিলেন বিচারক।এক সহকর্মী জিজ্ঞেস করলেন, ‘ঘটনা কী? হাসছেন কেন?’বিচারক বললেন, ‘হা হা হা! এই মাত্র দারুণ মজার একটা গল্প শুনে এলাম।’: তাই নাকি? বলুন তো গল্পটা, শুনি।: মাথা খারাপ? এই গল্প বলার জন্য একটু আগে আমি তাকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছি।
4//উকিল বলছেন আসামিকে, ‘এবারের মতো তোমাকে বেকসুর খালাস পাইয়ে দিলাম। কিন্তু এখন থেকে পাজি লোকজনের কাছ থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করবে।’আসামি: অবশ্যই স্যার। আমি অবশ্যই আপনার কাছ থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করব।
5//জেলখানায় নতুন কয়েদি এসেছে। নতুন কয়েদির পরিচয় হলো এক পুরোনো, বৃদ্ধ কয়েদির সঙ্গে—নতুন কয়েদি: আপনি কয় বছর ধরে আছেন?পুরোনো কয়েদি: ১০ বছর।নতুন কয়েদি: আহা! নিশ্চয়ই খুব কষ্ট হয় আপনার।পুরোনো কয়েদি: বললে বিশ্বাস করবে না, আমি একদিন বিল গেটসের মতো জীবন যাপন করেছি। বিলাসবহুল হোটেলে থেকেছি, দামি খাবার খেয়েছি, বউকে দামি গয়না কিনে দিয়েছি…নতুন কয়েদি: তারপর?পুরোনো কয়েদি: তারপর একদিন, বিল গেটস থানায় অভিযোগ করলেন, তাঁর ক্রেডিট কার্ডটা হারানো গেছে!
5//বন্ধুঃ দোস্ত, আমার বউটারে আর বিশ্বাস নাই। খালি মিথ্যা কথা কয়। কী যে করি!২য় বন্ধুঃ কেন, কী হইছে দোস্ত?১ম বন্ধুঃ আর কইস না। কাল রাতে আমি বাড়ি ছিলাম না। সকালে আইসা দেখি বউ ঘরে নাই। দুপুরে ফিরতেই জিগাইলাম, কই গেছিলা? কয় তার বোনের বাড়িতে বেড়াতে গেছিল।২য় বন্ধুঃ হুম, তয় বিশ্বাস না করার কী হইল?১ম বন্ধুঃ আরে তার বোনতো রাতে আমার লগে ছিল।
6//বাবার এক বন্ধু বেড়াতে এসেছেন আমাদের বাড়ি। সাথে তার মেয়ে। খুব সুন্দরী। প্রেমে পড়ে গেলাম। প্রতিদিন মেয়েটিকে সাথে নিয়ে বাগানে বেড়াতে যাই। কেউ কিছু জিজ্ঞেস করলে বলি, এই একটু আম পাড়তে যাচ্ছি।তো একদিন দুজনের প্রচণ্ড ঝগড়া হলো। মেয়েটি রাগ করে চলে গেল। মন খারাপ করে বাড়ি ফিরছিলাম। পথে বাবার বন্ধুর সাথে দেখা। জিজ্ঞেস করল, কিরে বাগানে কী করছিলি?- এই আম পাড়ছিলাম।- কই আজকে আমার মেয়ে তো তোর সাথে যায়নি।- ও যায়নি তো কী হয়েছে। আমি নিজেই ডালটা ধরে দুবার ঝাকাতে আমটা পড়ে গেল।
7//রাত্রিবেলা। সব কাপড়চোপড় খুলে ফেলে স্ত্রী স্বামীর গলা জড়িয়ে ধরে বলল, এই বলনা আমার কোন জিনিসটা তোমার খুব ভালো লাগে? আমার সুন্দর চেহারার মুখটা নাকি আমার সেক্সি বডিটা?স্বামী কিছুক্ষণ স্ত্রীর মুখ ও শরীরের দিকে চোখ বুলিয়ে তারপর বলল, তোমার সেন্স অব হিউমার!
8//জয়নাল সাহেব কানে কম শোনেন। হেয়ারিং এইড কিনতে তিনি গেলেন দোকানে।জয়নাল: ভাই, হেয়ারিং এইডের দাম কত?দোকানদার: পাঁচ টাকা দামের আছে, পাঁচ হাজার টাকা দামেরও আছে।জয়নাল: আমাকে পাঁচ টাকারটাই দেখান।দোকানদার জয়নালের কানে একটা প্লাস্টিকের খেলনা হেয়ারিং এইড গুঁজে দিলেন। জয়নাল আশ্চর্য হয়ে বললেন, এটার ভেতর তো কোনো যন্ত্রপাতিই নেই। এটা কাজ করে কীভাবে?দোকানদার: সত্যি বলতে, এটা কোনো কাজ করে না। তবে আপনার কানে এই জিনিস দেখলে লোকজন এমনিতেই আপনার সঙ্গে প্রয়োজনের চেয়ে উঁচু গলায় কথা বলবে!
9//‘দেখলে তো, সেঞ্চুরিটা করেই ফেললাম!’ টেলিফোনে বিজয় তার বান্ধবী ইভাকে বলল।‘কচু! ঝড়ে বক পড়ে আর ফকিরের কেরামতি বাড়ে।’ ব্যঙ্গ করল ইভা।‘তার মানে!’‘মানে হচ্ছে, প্রথম প্রথম সবাই একটাই করে। তারপর আর পারে না।’‘তুমি বলছ আমি আর সেঞ্চুরি করব না।’‘করতে পারো ভবিষ্যতে। তবে এবার আর পারবে না। দশ টাকার বাজি।’‘মাত্র ১০ টাকা। এত কিপটে তুমি!’‘আচ্ছা যাও, ১০০ টাকা বাজি!’‘১০০ টাকায় কী হয়?’‘আচ্ছা, ঠিক আছে এক হাজার টাকা বাজি। এর বেশি পারব না। গরিব মানুষ।’‘ওকে। তোমার টাকা দিয়ে তোমাকেই চায়নিজ খাওয়াব।’ হাসতে হাসতে কথা দিল ক্রিকেটার বিজয়।কয়েক দিন পর।‘সেঞ্চুরি তো আবার করে ফেললাম।’‘ওকে বাবা, মানছি, তুমি ভালো ক্রিকেটার।’‘বাজি কিন্তু হেরে গেলে।’‘মোটেও না। আমার দশটা বান্ধবীর সঙ্গে এক হাজার টাকা করে বাজি ধরেছিলাম যে তুমি আবার সেঞ্চুরি করবে। ওরা বলেছিল, তুমি পারবে না। বাজি ধরে আমি ১০ হাজার টাকা জিতেছি। তার মধ্য থেকে এক হাজার টাকা তুমি পেতেই পারো।’ হাসতে হাসতে বলল ইভা।
10// কদিন পরেই বিশ্বকাপের ফাইনাল! এমন সময় পত্রিকায় দেখা গেল একটি বিজ্ঞাপন।‘ফাইনাল ম্যাচের দুটি টিকিট আছে, এমন পাত্রী চাই। আগ্রহীরা ছবি পাঠান। পাত্রীর নয়, টিকিটের!’
11//অফিসের বস কর্মচারীদের বললেন, ‘আমি ক দলের সমর্থক। তোমাদের মধ্যে যারা ক দলের সমর্থক, হাত তোলো দেখি।’কর্মচারীরা কেউই বসকে চটাতে চায় না। ঝটপট সবাই হাত তুলল, একমাত্র মামুন ছাড়া।বস কড়া গলায় বললেন, ‘মামুন, তুমি ক দলের সমর্থন করো না! তাহলে তুমি কোন দলের সমর্থন করো?’‘খ দল স্যার।’ জবাব দিল সে।‘কেন?’‘স্যার আমার সবচেয়ে কাছের বন্ধু শুভ আর বাবুল খ দলের সমর্থন করে। তাই…’‘আচ্ছা। যদি বলি শুভ আর বাবুল দুজনই আস্ত বেকুব আর আহাম্মক, তবু তুমি খ দলেরই সমর্থন করবে?’‘মনে হয় না স্যার। বেকুব আর আহাম্মক হলে ওরাও নিশ্চয়ই আপনার মতো ক দলকেই পছন্দ করত!’
12//আম্পায়ারকে বলছেন একজন খেলোয়াড়, ‘স্যার, আমি যদি মনে মনে বলি, আপনাকে একটা খারাপ কথা বলি—তাহলে কি আমার সাজা হবে?’একটুখানি ভেবে নিয়ে আম্পায়ার বললেন, ‘না তো।’খেলোয়াড়: ও। বাঁচলাম।
13//সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন অধিনায়ক।সাংবাদিক: আজকে আপনাদের পরিকল্পনা কী?অধিনায়ক: যে করেই হোক, বিপক্ষ দলকে আজ আমরা ১০০ রান করতে দেব না।সাংবাদিক: এত নিশ্চিত হচ্ছেন কী করে?অধিনায়ক: কারণ, আমরা আজকে আগে ব্যাট করব এবং ১০০ রানের নিচে অলআউট হয়ে যাব।
14//বারবার খারাপ খেলে ভীষণ মুষড়ে পড়েছে একজন ব্যাটসম্যান। ক্লাব কর্মকর্তা তাকে সান্ত্বনা দিচ্ছিলেন।কর্মকর্তা: তুমি যখনই ব্যাট করতে নামো, আমি অবাক হয়ে তোমাকে দেখি। বিশ্বাস করো!খেলোয়াড়: জানি। আপনি নিশ্চয়ই ভাবেন, আমি কেমন করে খেলি।কর্মকর্তা: না। আমি ভাবি, তুমি ‘কেন’ খেলো?
15//একজন মোটামুটি টাইপের ক্রিকেটারের বাবা ছিলেন অন্ধ। কিন্তু তিনি চোখে দেখতে না পেলেও ছেলেকে উৎসাহ দিতে ছেলের প্রতিটা ম্যাচে মাঠে উপস্থিত থাকতেন।একটা বড় ম্যাচের আগের রাতে ক্রিকেটারের বাবা মারা গেলেন। পরের দিন ছেলেটি এত ভাল খেলে ম্যাচ জিতিয়ে হিরো হয়ে গেলেন। সবাই তো অবাক!সংবাদিকরা জিজ্ঞেস করলেন, হঠাত করে এমন ভালো খেলার কারণ কী?ক্রিকেটার উত্তর দিলেন, এই প্রথম আমার বাবা আমার খেলা দেখছিলেন।
16// হাতে হাত লাগাও,
ঠোটে ঠোট লাগাও,
এবার আস্তে আস্তে টান,,,,
,
,
,
,
,
,
, ,,,, এবার বল চা টা কেমন হয়েচে।)
17//পাহারাওলা—এতো রাতে পাকে ঘরেছেন কেন কৈফিয়ৎ দিন ?উদ্দিটি ব্যক্তি—তাই যদি দেবার থাকতো, তাহলে কি আর আমি এতক্ষণ বাইরে থাকি । তাহলে তো কখন আমি বাড়ীতে আমার স্ত্রীর কাছেই চলে যেতে পারতুম।
18//চোর: জলদি, পুলিশ আসছে! জানালা দিয়ে লাফিয়ে পড়।সহকারী: কিন্তু ওস্তাদ, আমরা যে এখন তের তলায় আছি।চোর: দুর গাধা! এখন কি কুসংস্কার নিয়ে মাথা ঘামানোর সময়?
19//হরতাল চলছে। পিকেটাররা পিকেটিং করছে।একজন একটা ইটের টুকরা পুলিশের দিকে মারতে মারতে পাশের জনকে বলল, ‘আবে ওই হালায়, খাড়ায় রইছস ক্যান। দ্যাখতাছস না, পুলিশ কেমুন আউগায় আইতাছে।’উত্তর দিল না গিলটি মিয়া।দুর্ধর্ষ স্পাই মাসুদ রানার সহকারী গিলটি মিয়াকে এবার রাস্তায় নামানো হয়েছে পিকেটারদের সঙ্গে পিকেটিং করার জন্য, পুলিশের সাইলেন্ট ইনফরমার হিসেবে।ওর কাছে একটা পাসওয়ার্ড আছে। সেটা বললেই পুলিশ ওকে ছেড়ে দেবে। মারবে না।হরতাল, পিকেটিং, গাড়ি জ্বালাও-পোড়াও দেখে ঘাবড়ে গেছে গিলটি মিয়া। এর চেয়ে চলন্ত বাসে দুই আঙুলের কাজ সারা অনেক সহজ।চপাশ!চিমসেপড়া পাছায় পুলিশের লাঠির আঘাত পড়তেই বাস্তবে ফিরে এল গিলটি মিয়া। তড়িঘড়ি করে স্মৃতি হাতড়াল। বাঁচতে হবে।সর্বনাশ!পুলিশের মারের চোটে পাসওয়ার্ড ভুলে গেছে ও।
20//একবার এক চোর রাতের বেলা নারকেলগাছে উঠেছে। উদ্দেশ্যে কী, সেটা তো আর বলে দিতে হবে না। তো নারকেল নিচে ফেলতেই জোরে শব্দ হলো। সেই শব্দে গৃহস্থ মানে গাছের মালিক গেল জেগে। চিত্কার করে জানতে চাইল, ‘কে রে?’গাছের ওপর থেকে চোরটা উত্তর দিল, আমি মতিন।: ওইখানে কী করিস?: ঘাস কাটি।: ওই ছাগল, নারকেলগাছে কি ঘাস আছে নাকি?: নাই দেইখ্যাই তো নেমে আসতেছি।
1//শাড়িকাপড় চুরির দায়ে পলিস চোরকে আদালতে ধরে এনেছে । উকিল তাকে জেরা করছে ।উকিল : ধর্মাবতার, এই লোকটা এক রাতে একই দোকানে ছ’বার চুরি করেছে। এর সেইমত সাজা হওয়ার দরকার ।চোর : হুজুর, ছ’বার দোকানে ঢুকলেও চুরি করেছি মাত্র দুখানা শাড়ি । আর বাকি পাঁচবার বউ এর পছন্দ না হওয়ায় শাড়ি বদলাবার জন্যে দোকানে ঢুকতে হয়ে
২//ম্যাজিস্ট্রেট: গতবারও তোমাকে বলেছিলাম, আমি চাই না তুমি পুনরায় এখানে আসো।চোর: স্যার, ঠিক এই কথাটাই আমিও পুলিশকে বলেছিলাম, বিশ্বাস করল না।
3//হাসতে হাসতে আদালত থেকে বেরিয়ে আসছিলেন বিচারক।এক সহকর্মী জিজ্ঞেস করলেন, ‘ঘটনা কী? হাসছেন কেন?’বিচারক বললেন, ‘হা হা হা! এই মাত্র দারুণ মজার একটা গল্প শুনে এলাম।’: তাই নাকি? বলুন তো গল্পটা, শুনি।: মাথা খারাপ? এই গল্প বলার জন্য একটু আগে আমি তাকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছি।
4//উকিল বলছেন আসামিকে, ‘এবারের মতো তোমাকে বেকসুর খালাস পাইয়ে দিলাম। কিন্তু এখন থেকে পাজি লোকজনের কাছ থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করবে।’আসামি: অবশ্যই স্যার। আমি অবশ্যই আপনার কাছ থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করব।
5//জেলখানায় নতুন কয়েদি এসেছে। নতুন কয়েদির পরিচয় হলো এক পুরোনো, বৃদ্ধ কয়েদির সঙ্গে—নতুন কয়েদি: আপনি কয় বছর ধরে আছেন?পুরোনো কয়েদি: ১০ বছর।নতুন কয়েদি: আহা! নিশ্চয়ই খুব কষ্ট হয় আপনার।পুরোনো কয়েদি: বললে বিশ্বাস করবে না, আমি একদিন বিল গেটসের মতো জীবন যাপন করেছি। বিলাসবহুল হোটেলে থেকেছি, দামি খাবার খেয়েছি, বউকে দামি গয়না কিনে দিয়েছি…নতুন কয়েদি: তারপর?পুরোনো কয়েদি: তারপর একদিন, বিল গেটস থানায় অভিযোগ করলেন, তাঁর ক্রেডিট কার্ডটা হারানো গেছে!
5//বন্ধুঃ দোস্ত, আমার বউটারে আর বিশ্বাস নাই। খালি মিথ্যা কথা কয়। কী যে করি!২য় বন্ধুঃ কেন, কী হইছে দোস্ত?১ম বন্ধুঃ আর কইস না। কাল রাতে আমি বাড়ি ছিলাম না। সকালে আইসা দেখি বউ ঘরে নাই। দুপুরে ফিরতেই জিগাইলাম, কই গেছিলা? কয় তার বোনের বাড়িতে বেড়াতে গেছিল।২য় বন্ধুঃ হুম, তয় বিশ্বাস না করার কী হইল?১ম বন্ধুঃ আরে তার বোনতো রাতে আমার লগে ছিল।
6//বাবার এক বন্ধু বেড়াতে এসেছেন আমাদের বাড়ি। সাথে তার মেয়ে। খুব সুন্দরী। প্রেমে পড়ে গেলাম। প্রতিদিন মেয়েটিকে সাথে নিয়ে বাগানে বেড়াতে যাই। কেউ কিছু জিজ্ঞেস করলে বলি, এই একটু আম পাড়তে যাচ্ছি।তো একদিন দুজনের প্রচণ্ড ঝগড়া হলো। মেয়েটি রাগ করে চলে গেল। মন খারাপ করে বাড়ি ফিরছিলাম। পথে বাবার বন্ধুর সাথে দেখা। জিজ্ঞেস করল, কিরে বাগানে কী করছিলি?- এই আম পাড়ছিলাম।- কই আজকে আমার মেয়ে তো তোর সাথে যায়নি।- ও যায়নি তো কী হয়েছে। আমি নিজেই ডালটা ধরে দুবার ঝাকাতে আমটা পড়ে গেল।
7//রাত্রিবেলা। সব কাপড়চোপড় খুলে ফেলে স্ত্রী স্বামীর গলা জড়িয়ে ধরে বলল, এই বলনা আমার কোন জিনিসটা তোমার খুব ভালো লাগে? আমার সুন্দর চেহারার মুখটা নাকি আমার সেক্সি বডিটা?স্বামী কিছুক্ষণ স্ত্রীর মুখ ও শরীরের দিকে চোখ বুলিয়ে তারপর বলল, তোমার সেন্স অব হিউমার!
8//জয়নাল সাহেব কানে কম শোনেন। হেয়ারিং এইড কিনতে তিনি গেলেন দোকানে।জয়নাল: ভাই, হেয়ারিং এইডের দাম কত?দোকানদার: পাঁচ টাকা দামের আছে, পাঁচ হাজার টাকা দামেরও আছে।জয়নাল: আমাকে পাঁচ টাকারটাই দেখান।দোকানদার জয়নালের কানে একটা প্লাস্টিকের খেলনা হেয়ারিং এইড গুঁজে দিলেন। জয়নাল আশ্চর্য হয়ে বললেন, এটার ভেতর তো কোনো যন্ত্রপাতিই নেই। এটা কাজ করে কীভাবে?দোকানদার: সত্যি বলতে, এটা কোনো কাজ করে না। তবে আপনার কানে এই জিনিস দেখলে লোকজন এমনিতেই আপনার সঙ্গে প্রয়োজনের চেয়ে উঁচু গলায় কথা বলবে!
9//‘দেখলে তো, সেঞ্চুরিটা করেই ফেললাম!’ টেলিফোনে বিজয় তার বান্ধবী ইভাকে বলল।‘কচু! ঝড়ে বক পড়ে আর ফকিরের কেরামতি বাড়ে।’ ব্যঙ্গ করল ইভা।‘তার মানে!’‘মানে হচ্ছে, প্রথম প্রথম সবাই একটাই করে। তারপর আর পারে না।’‘তুমি বলছ আমি আর সেঞ্চুরি করব না।’‘করতে পারো ভবিষ্যতে। তবে এবার আর পারবে না। দশ টাকার বাজি।’‘মাত্র ১০ টাকা। এত কিপটে তুমি!’‘আচ্ছা যাও, ১০০ টাকা বাজি!’‘১০০ টাকায় কী হয়?’‘আচ্ছা, ঠিক আছে এক হাজার টাকা বাজি। এর বেশি পারব না। গরিব মানুষ।’‘ওকে। তোমার টাকা দিয়ে তোমাকেই চায়নিজ খাওয়াব।’ হাসতে হাসতে কথা দিল ক্রিকেটার বিজয়।কয়েক দিন পর।‘সেঞ্চুরি তো আবার করে ফেললাম।’‘ওকে বাবা, মানছি, তুমি ভালো ক্রিকেটার।’‘বাজি কিন্তু হেরে গেলে।’‘মোটেও না। আমার দশটা বান্ধবীর সঙ্গে এক হাজার টাকা করে বাজি ধরেছিলাম যে তুমি আবার সেঞ্চুরি করবে। ওরা বলেছিল, তুমি পারবে না। বাজি ধরে আমি ১০ হাজার টাকা জিতেছি। তার মধ্য থেকে এক হাজার টাকা তুমি পেতেই পারো।’ হাসতে হাসতে বলল ইভা।
10// কদিন পরেই বিশ্বকাপের ফাইনাল! এমন সময় পত্রিকায় দেখা গেল একটি বিজ্ঞাপন।‘ফাইনাল ম্যাচের দুটি টিকিট আছে, এমন পাত্রী চাই। আগ্রহীরা ছবি পাঠান। পাত্রীর নয়, টিকিটের!’
11//অফিসের বস কর্মচারীদের বললেন, ‘আমি ক দলের সমর্থক। তোমাদের মধ্যে যারা ক দলের সমর্থক, হাত তোলো দেখি।’কর্মচারীরা কেউই বসকে চটাতে চায় না। ঝটপট সবাই হাত তুলল, একমাত্র মামুন ছাড়া।বস কড়া গলায় বললেন, ‘মামুন, তুমি ক দলের সমর্থন করো না! তাহলে তুমি কোন দলের সমর্থন করো?’‘খ দল স্যার।’ জবাব দিল সে।‘কেন?’‘স্যার আমার সবচেয়ে কাছের বন্ধু শুভ আর বাবুল খ দলের সমর্থন করে। তাই…’‘আচ্ছা। যদি বলি শুভ আর বাবুল দুজনই আস্ত বেকুব আর আহাম্মক, তবু তুমি খ দলেরই সমর্থন করবে?’‘মনে হয় না স্যার। বেকুব আর আহাম্মক হলে ওরাও নিশ্চয়ই আপনার মতো ক দলকেই পছন্দ করত!’
12//আম্পায়ারকে বলছেন একজন খেলোয়াড়, ‘স্যার, আমি যদি মনে মনে বলি, আপনাকে একটা খারাপ কথা বলি—তাহলে কি আমার সাজা হবে?’একটুখানি ভেবে নিয়ে আম্পায়ার বললেন, ‘না তো।’খেলোয়াড়: ও। বাঁচলাম।
13//সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন অধিনায়ক।সাংবাদিক: আজকে আপনাদের পরিকল্পনা কী?অধিনায়ক: যে করেই হোক, বিপক্ষ দলকে আজ আমরা ১০০ রান করতে দেব না।সাংবাদিক: এত নিশ্চিত হচ্ছেন কী করে?অধিনায়ক: কারণ, আমরা আজকে আগে ব্যাট করব এবং ১০০ রানের নিচে অলআউট হয়ে যাব।
14//বারবার খারাপ খেলে ভীষণ মুষড়ে পড়েছে একজন ব্যাটসম্যান। ক্লাব কর্মকর্তা তাকে সান্ত্বনা দিচ্ছিলেন।কর্মকর্তা: তুমি যখনই ব্যাট করতে নামো, আমি অবাক হয়ে তোমাকে দেখি। বিশ্বাস করো!খেলোয়াড়: জানি। আপনি নিশ্চয়ই ভাবেন, আমি কেমন করে খেলি।কর্মকর্তা: না। আমি ভাবি, তুমি ‘কেন’ খেলো?
15//একজন মোটামুটি টাইপের ক্রিকেটারের বাবা ছিলেন অন্ধ। কিন্তু তিনি চোখে দেখতে না পেলেও ছেলেকে উৎসাহ দিতে ছেলের প্রতিটা ম্যাচে মাঠে উপস্থিত থাকতেন।একটা বড় ম্যাচের আগের রাতে ক্রিকেটারের বাবা মারা গেলেন। পরের দিন ছেলেটি এত ভাল খেলে ম্যাচ জিতিয়ে হিরো হয়ে গেলেন। সবাই তো অবাক!সংবাদিকরা জিজ্ঞেস করলেন, হঠাত করে এমন ভালো খেলার কারণ কী?ক্রিকেটার উত্তর দিলেন, এই প্রথম আমার বাবা আমার খেলা দেখছিলেন।
16// হাতে হাত লাগাও,
ঠোটে ঠোট লাগাও,
এবার আস্তে আস্তে টান,,,,
,
,
,
,
,
,
, ,,,, এবার বল চা টা কেমন হয়েচে।)
17//পাহারাওলা—এতো রাতে পাকে ঘরেছেন কেন কৈফিয়ৎ দিন ?উদ্দিটি ব্যক্তি—তাই যদি দেবার থাকতো, তাহলে কি আর আমি এতক্ষণ বাইরে থাকি । তাহলে তো কখন আমি বাড়ীতে আমার স্ত্রীর কাছেই চলে যেতে পারতুম।
18//চোর: জলদি, পুলিশ আসছে! জানালা দিয়ে লাফিয়ে পড়।সহকারী: কিন্তু ওস্তাদ, আমরা যে এখন তের তলায় আছি।চোর: দুর গাধা! এখন কি কুসংস্কার নিয়ে মাথা ঘামানোর সময়?
19//হরতাল চলছে। পিকেটাররা পিকেটিং করছে।একজন একটা ইটের টুকরা পুলিশের দিকে মারতে মারতে পাশের জনকে বলল, ‘আবে ওই হালায়, খাড়ায় রইছস ক্যান। দ্যাখতাছস না, পুলিশ কেমুন আউগায় আইতাছে।’উত্তর দিল না গিলটি মিয়া।দুর্ধর্ষ স্পাই মাসুদ রানার সহকারী গিলটি মিয়াকে এবার রাস্তায় নামানো হয়েছে পিকেটারদের সঙ্গে পিকেটিং করার জন্য, পুলিশের সাইলেন্ট ইনফরমার হিসেবে।ওর কাছে একটা পাসওয়ার্ড আছে। সেটা বললেই পুলিশ ওকে ছেড়ে দেবে। মারবে না।হরতাল, পিকেটিং, গাড়ি জ্বালাও-পোড়াও দেখে ঘাবড়ে গেছে গিলটি মিয়া। এর চেয়ে চলন্ত বাসে দুই আঙুলের কাজ সারা অনেক সহজ।চপাশ!চিমসেপড়া পাছায় পুলিশের লাঠির আঘাত পড়তেই বাস্তবে ফিরে এল গিলটি মিয়া। তড়িঘড়ি করে স্মৃতি হাতড়াল। বাঁচতে হবে।সর্বনাশ!পুলিশের মারের চোটে পাসওয়ার্ড ভুলে গেছে ও।
20//একবার এক চোর রাতের বেলা নারকেলগাছে উঠেছে। উদ্দেশ্যে কী, সেটা তো আর বলে দিতে হবে না। তো নারকেল নিচে ফেলতেই জোরে শব্দ হলো। সেই শব্দে গৃহস্থ মানে গাছের মালিক গেল জেগে। চিত্কার করে জানতে চাইল, ‘কে রে?’গাছের ওপর থেকে চোরটা উত্তর দিল, আমি মতিন।: ওইখানে কী করিস?: ঘাস কাটি।: ওই ছাগল, নারকেলগাছে কি ঘাস আছে নাকি?: নাই দেইখ্যাই তো নেমে আসতেছি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন